অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন দেশটির সংসদ ও বিচার বিভাগ পর্যালোচনা করছে। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মাদ জাফর মুন্তাজেরি এই তথ্য জানানোর পাশাপাশি দেশটির নৈতিকতা পুলিশ স্থগিত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নৈতিকতা পুলিশ বিলুপ্তির বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছে। খবর সিএনএনের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের নৈতিকতা পুলিশকে বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে পরামর্শ দিয়ে মুনতাজেরির উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছিল। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই মন্তব্যকে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, নৈতিকতা পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধান করে, বিচার বিভাগ নয়।
হিজাব আইন প্রসঙ্গে মুন্তাজেরি বলেন, ‘আমরা জানি শহরে হিজাব ছাড়া মহিলাদের দেখলে আপনি বিরক্ত বোধ করবেন। কিন্তু কী মনে করেন, কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নীরব? এই ইস্যুটির সঙ্গে জড়িত একজন হিসেবে আমি বলি যে আমাদের সংসদ ও বিচার বিভাগ উভয়ই এটি নিয়ে কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ, আমরা বলতে পারি যে আমরা সংসদের সাংস্কৃতিক কমিশনের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছি। আশা করি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল দেখতে পাবেন।
এদিকে রোববার (৪ ডিসেম্বর) ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আল-আলম নিউজ চ্যানেল দেশটির নৈতিকতা পুলিশ বন্ধ করার খবর অস্বীকার করেছে। এর আগে ইসলামিক রিপাবলিক নৈতিকতা পুলিশকে বিলুপ্ত করেছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল।
আল-আলমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কোনো সরকারি কর্মকর্তা নৈতিকতা পুলিশ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। কিছু বিদেশী মিডিয়া সাম্প্রতিক দাঙ্গার প্রভাবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের হিজাব আইন প্রত্যাহারের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যকে দায়ী করার চেষ্টা করছে।
Leave a Reply